চৈত্রের রোদের মাঝে সংগ্রামী তিন বিধবা নারী: জামালপুরে কষ্টে গড়া জীবনের গল্প

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
চৈত্রের রোদের মাঝে সংগ্রামী তিন বিধবা নারী: জামালপুরে কষ্টে গড়া জীবনের গল্প

প্রবাসি নিউজ ডেক্স, জামালপুর
চৈত্র মাসের খরতাপে যেখানে অনেকেই ঘরের ছায়া খোঁজেন, সেখানে জীবনযুদ্ধে অবিচল থেকে প্রতিদিন মরিচ তুলছেন জামালপুর জেলার তিন বিধবা নারী।
https://www.facebook.com/share/v/1BHwUcSQZg/
ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের বাসিন্দা মোছা: জমিলা বেগম (৬০), মোছা: মজেদা বেগম (৫৫) ও মোছা: মমেনা বেগম (৬০) রোদে পুড়ে মাঠে কাজ করে সংগ্রাম করছেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও।তাদের দৈনিক আয় মাত্র ২৫০ টাকা। মরিচ তোলার এই মৌসুমি কাজ বছরের মাত্র তিন-চার মাস থাকে। বাকি সময়গুলো কাটে চরম অনিশ্চয়তা ও অভাবের মধ্য দিয়ে। নেই নিজেদের কোনো জমি, ঘরবাড়ি কিংবা স্থায়ী আশ্রয়। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগবালাই। তবুও পেটের দায়ে পিছু হটেননি এ নারীরা।
মজেদা বেগম বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, কাজ না করলে খাব কী? মরিচ তুলি রোদে দাঁড়ায়া, তবু দিন চলে না…”তিনজনেরই স্বামী বহু আগেই মারা গেছেন। কেউ সন্তানদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন, কেউ বা একাই বেঁচে আছেন ঘরের কোণায়। এই নারীদের গল্প কেবল দারিদ্র্যের নয়—এটি এক অবিচল মানসিকতা, আত্মসম্মান আর সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।এই প্রান্তিক জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে প্রয়োজন রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল দৃষ্টি এবং মানবিক সহযোগিতা। স্থানীয় প্রশাসন বা সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে বদলে যেতে পারে তাদের দিন।