জামায়াত নেতার সুপারিশে আওয়ামী লীগ নেতার পুনর্বাসন: লোহাগাড়ায় বিতর্কের ঝড় প্রবাসী নিউজ প্রবাসী নিউজ প্রকাশিত: ১:১৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫ জামায়াত নেতার সুপারিশে আওয়ামী লীগ নেতার পুনর্বাসন: লোহাগাড়ায় বিতর্কের ঝড় প্রবাসী নিউজ টিভি ডেক্স রিপোর্ট | লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কলাউজান শাহ রশিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসাকে ঘিরে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ডিও লেটারের মাধ্যমে মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন হাসান রিপুল।উল্লেখ্য, সাইফুদ্দিন হাসান রিপুল এক সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার সভাপতিত্বকালীন সময়ে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের একাধিক অপকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের হয়। তাকে গত নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং দীর্ঘ সময় জেল খেটে সম্প্রতি তিনি মুক্তি পান। জানা গেছে, জামায়াত নেতাদের ছায়া খুঁজতে গিয়ে তিনি যোগাযোগ করেন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলামের সঙ্গে। এরপর শামসুল ইসলামের সুপারিশে একটি ডিও লেটার নেয়া হয়, যা আজ চট্টগ্রাম এডিসি (শিক্ষা) বরাবর জমা দেওয়া হলে তিনি স্বাক্ষর করে দেন। এরপর বিষয়টি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিয়ে কমিটি বাস্তবায়নের তোড়জোড় শুরু হয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা ও সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন, একজন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা কীভাবে যাচাই-বাছাই না করেই আওয়ামী লীগের বিতর্কিত এবং হত্যা মামলার আসামিকে সুপারিশ করেন?তারা বলছেন, এটি শুধু রাজনৈতিক দ্বিচারিতার উদাহরণ নয়, একই সঙ্গে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর অপচেষ্টাও। SHARES অপরাধ বিষয়: